,

মামলার স্বাক্ষী হাবিবুর রহমান মোল্লাকে শিবির নেতা আখ্যা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ॥ এলাকায় সমালোচনার ঝড়

সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিন ছেলে সুহেল রানা সৎ ভাইয়ের বউকে শ্লীলতা হানির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় একই গ্রামের ফুফাতো ভাই হাবিবুর রহমান মোল্লাকে দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষী হিসাবে মামলার বিপক্ষে সুহেল রানার কথামত এফিডেভিট করে না দেয়ায় হাবিবুর রহমান মোল্লার বিরোদ্ধে নানা অপপ্রচার ও কুৎসা রটনায় লিপ্ত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সুহেল রানা ও তার ছোট ভাই দরাজ মিয়ার পিতা আমির উদ্দিন হাবিবুর রহমান মোল্লার সম্পর্কে মামা হন। সেই হিসাবে সুহেল রানা ও দরাজ মিয়া একই পিতার ওরসজাত সৎ দুই ভাই হলেও উভয়েই হাবিবুর রহমান মোল্লার মামাতো ভাই। দরাজ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ রাজিয়া বেগমকে শ্লীলতা হানির অভিযোগ এনে সুহেল রানা ও তার নিকট আত্মীয় সুয়েবের বিরোদ্ধে শ্লীলতা হানির অভিযোগ এনে মোছাঃ রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় স্বাক্ষী হিসাবে ইলাখ উদ্দিন, আবুল কাশেম, তোফাজ্জল হোসেন ও হাবিবুর রহমান মোল্লার নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে সুচতুর সুহেল রানা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে নানা ছলচাতুরির আশ্রয়ে ফন্দি আটতে থাকে। সুহেল রানা ও তার নিকট আত্মীয় সুয়েব বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মামলার স্বাক্ষী ইলাখ উদ্দিন, আবুল কাশেম, তোফাজ্জল হোসেনের এফিডেভিট মামলার বিপক্ষে গ্রহণ করে অপর স্বাক্ষী হাবিবুর রহমান মোল্লার নিকট একই অজুহাতে এফিডেভিটে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য নিয়ে আসলে মামলার বাদীনী রাজিয়া বেগম ও সুহেল রানা হাবিবুর রহমান মোল্লার আত্মীয় হওয়ায় হাবিবুর রহমান মোল্লা সুহেল রানার প্রলোভনে এফিডেভিটে স্বাক্ষর না দিয়ে তাদের সামাজিক মান মর্যাদা রক্ষার্থে মামলার বিষয়টি হাবিবুর রহমান মোল্লার মধ্যস্ততায় আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য সুহেলর রানার নিকট তার ভাগিনা সুয়েবের মাধ্যমে প্রস্তাব দেন। সরল বিশ্বাসে তাদের মধ্যকার বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা শালিসে নিষ্পত্তি প্রস্তাব দেওয়াই হাবিবুর রহমান মোল্লার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। সুহেল রানা হাবিবুর রহমান মোল্লাকে চাপে রাখতে তার বিরোদ্ধে উঠেপড়ে লেগে মিথ্যা অজুহাতে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বের ২০২০ইং তারিখে দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকায় হাবিবুর রহমান মোল্লা সাবেক শিবিরের কর্মী হিসাবে উল্লেখ করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায়। বাস্তবে হাবিবুর রহমান মোল্লার শিবির কিংবা জামায়াতে ইসলামের সাথে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শ্লীলতা হানি মামলার আসামী সুহেল রানা মামলা থেকে বাঁচতে ওই মামলার স্বাক্ষী হাবিবুর রহমান মোল্লাকে চাপে ফেলতে এরকম মিথ্যা অভিযোগ তুলে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।


     এই বিভাগের আরো খবর